চাঁদা না দেওয়ায় নিজ দলের সহযোগী সংগঠনের এক নেতার বাড়ি নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওসমান আলী আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ আলম আলমগীর। ওসমান আলী চৌহালী উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সহসভাপতি।
তিনি বলেন, ওসমান আলী বাদী হয়ে জাহিদ মোল্লাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে চৌহালী আমলি আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন। বিচারক বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় ওসমান আলী উল্লেখ করেন, যমুনার ভাঙনে বসতবাড়ি বিলীন হওয়ায় খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের কুরকি পূর্বপাড়ায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া ২৭ শতক জায়গায় বেশ কিছুদিন আগে বসতবাড়ি করে বসবাস করছি। সম্প্রতি সেখানেই একটি টিনের ঘরের পাকা দেওয়াল নির্মান শুরু করেছি। এ অবস্থায় ১ জানুয়ারি সকালে জাহিদ মোল্লা ২০/২৫ জন লোকজন নিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তিনি জোরপূর্বক ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলেন। তা না হলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি।
ওসমান আলী বলেন, এ ঘটনায় ২১ জানুয়ারি আদালতে পিটিশন মামলা করেছি। কিন্তু মামলার বিষয়টি জেনে জাহিদ মোল্লা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। নিরাপত্তার অভাবে বাড়িতে যেতে পারছি না। পরিবারের লোকজন বাড়িতে আতংকে বসবাস করছে। প্রায় ১ মাস ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, ওসমান আলী আদালতে মিথ্যা মামলা করে বাড়ি ছেড়ে এখন গাজীপুরে অবস্থান করছে। আমি ওর কাছে কীসের চাঁদা চাইব। ও নিজেই তো ১০০/২০০ টাকা চাঁদা তুলে খায়। মিথ্যা মামলা করার কারণে এলাকার বহু লোকজন ক্ষেপে আছে, বাড়িতে এলেই ওসমানকে ধরবে।
সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি একরামুল হোসাইন জানান, এ-সংক্রান্ত আদেশের কপি এখনো আদালত থেকে ডিবি অফিসে এসে পৌঁছেনি।
মন্তব্য করুন