জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের ফাঁসির দাবিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে স্লোগান দিয়েছেন বিএনপির বেশ কিছু কর্মী। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়পুরহাট গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মোস্তাককে ২টি হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আদালতের মাধ্যমে বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে গ্রেপ্তার করে। তিনি মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া মোস্তাককে রাতেই ঢাকা থেকে জয়পুরজাট নিয়ে আসে ডিবি পুলিশ। তাকে আদালতে নেওয়া হলে জয়পুরহাট আমলি-১ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন তাকে জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কড়া পুলিশ পাহারায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
গত ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী রিমন ও মোরসালিন বাদী হয়ে মামলা করেন। তাদের দায়ের করা এসব মামলায় সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানকে ৫ ও ৬ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন