ঘন কুয়াশা আর উত্তর হিমালয় অঞ্চলের থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলেনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ছিল ৮-৯ কিলোমিটার, যা গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে উত্তরের হিমেল বাতাসে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পঞ্চগড় জেলা। সন্ধ্যার পর থেকেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল সকাল সূর্যের দেখা মিলছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
অন্যদিকে তীব্র শীত ও আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময়ে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ছিল ৮-৯ কিলোমিটার। যা গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন