মাঘের শীতে নাজেহাল দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুর। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর এখানে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে এ জেলায়। টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। প্রতিনিয়তই হচ্ছে তাপমাত্রার ছন্দপতন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে বুধবার এ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই। এই শীতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের ভোগান্তি একটু বেশি। যে যার সাধ্যমতো গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হচ্ছে নিজ গন্তব্যে। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান। ভোরে কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনমজুর আমিনুল ইসলাম বলেন, কুয়াশার কারণে সকালে কিছুই দেখা যায় না। কাজের সন্ধানে বের হলেও কাজ পাওয়াই কষ্ট। আল্লাহ জানে কবে এই শীত যাবে। ভ্যানচালক ইদ্রিস আলী বলেন, সকালে আসলাম কিছুই তো, দেখা যায় না। এ ছাড়া লোকজনও কম। এই ঠান্ডায় বেশ কষ্টে আছি।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নূর আমীন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছি। সেই সঙ্গে সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা তো আছেই। প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার পরিবর্তনেই এ রকম হচ্ছে।
কৃষক মশিউর রহমান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে খুব টেনশনে আছি। না জানি কী ক্ষতি হচ্ছে ক্ষেতের।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
মন্তব্য করুন