পটুয়াখালীতে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার পর্যটক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা পর্যটকরা বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোতালেব শরীফ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লাসহ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশালে বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ ধর্ম ঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার।
মো. মোতালেব শরীফ বলেন, বাস ধর্মঘটের প্রভাবে হোটেলের অগ্রিম বুকিং করা রুম বাতিল করেছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা। এতে আর্থিক ক্ষতিতে পড়ল হোটেল মোটেল ও রিসোর্টের ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অ্যামপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ওয়াহিদ বলেন, যাতায়াতের পথে বাঁধা সৃষ্টি হলে মানুষজন ঘর থেকে বের হয় না। আজ বাস ধর্ম ঘটের কারণে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা। ৪০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং বাতিল করেছে ওভার ফোন পর্যটকরা। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারাই একমাত্র কুয়াকাটায় আসছে। দ্রুত বাস ধর্মঘট উঠিয়ে নেওয়া উচিত।
বেস্ট সাউদার্ন আবাসিক হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাল বাদে পরশু শুক্রবার। গত সপ্তাহে তেমন পর্যটক আসেনি ভাবছি এ সপ্তাহে ভালো গেস্ট হবে কিন্তু আর হলো না। এমন সময় বাস ধর্মঘট দিয়ে পুরো সপ্তাহে লোকসানে ফেলে দিল। অনেক গেস্ট রুম ক্যানসেল করল।
কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা পর্যটক শিহাব-রাহেলা দম্পতি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে খুলনা থেকে কুয়াকাটায় এসেছি। দুদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাতে খবর পেয়েছি আমাদের এক আত্মীয় অনেক অসুস্থ। তাই সকালে হোটেল থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছাড়েনি। এখানে কাউন্টারে যারা রয়েছে তারাও নিশ্চিত বলতে পারছে না কখন বাস ছাড়বে।
পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিভাগীয় পর্যায়ের বাস মালিক সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশনা পেলেই আমরা বাস চলাচল শুরু করবো।
মন্তব্য করুন