সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিএনপির কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষ্ণা রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলন ঘিরে টানা কয়েকদিন ধরেই আশাশুনি উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার উপজেলার পদ্ম বেউলা সাইক্লোন শেল্টার স্কুল মাঠে বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। একপর্যায় সকাল ১১দিকে সম্মেলন স্থলে দুগ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এর আগেও দুগ্রুপের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আশাশুনি থানা পুলিশ জানায়, বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মাঠে তৎপর রয়েছি।
বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইয়াছির আরাফাত পলাশ, যুবদলের বকুল, শরিফুল,আশিক, কল্লোল, দীপু রমজান আলী, মনিরুল, আজমিনুর, হাশেম আলী, মিঠু আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইয়াছির আরাফাত পলাশকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, আমরা সম্মেলন করছিলাম। অন্য গ্রুপ বাধা দিলে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।
আশাশুনি উপজেলা বিএনপির (ইফতেখার গ্রুপের) সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন বলেন, এ মুহূর্তে আমরা কোনো বক্তব্য দিচ্ছি না, পরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বক্তব্য আমরা তুলে ধরব।
আর বিএনপির (তারিকুল হাসান) গ্রুপের সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাবু ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার জামান বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা অমান্য করে তারা কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। আমাদের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইফতেখার আলী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলামকে নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হওয়া ক্ষোভের বিষয়টা জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো অবস্থায় বিষয়টা আমলে নেননি। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন