কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হঠাৎ করেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে আপাতত শৈত্যপ্রবাহ নেই জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জেলায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান পরিস্থিতিতে মিলবে সূর্যের আলো। আপাতত শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে শ্রমজীবী মানুষ বাহিরে বেরিয়ে পড়েছেন। এ সময় কথা হয় রিকশাচালক মতিন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ভোরবেলায় বেরিয়েছি। তখন প্রচণ্ড ঠান্ডা ও শীত। ভোরবেলা ঢাকার গাড়ি আসে, তাই সকাল সকাল বের হলে কিছু যাত্রী পাওয়া যায়। আর এমনিতে বাইরে মানুষ কম। বেলা বাড়ার সাথে রাস্তায় কিছুটা মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত তেমন কেউ বের হচ্ছেন না।
শ্রমিক সাহেব আলী বলেন, এখন তো ধান কাটা চলছে। বাড়িতে বসে থাকার সুযোগ নেই। তাই সাতসকালে বের হয়েছি, কাজ করছি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, চলতি বছর জেলার ৯টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৭২২ পিস কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ যেটি প্রতি উপজেলাতে বিতরণ চলমান রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় শীত নিবারণের জন্য বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করছে। তবে কী পরিমাণ সহায়তা তারা দিয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন