আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। তীব্র কনকনে শীতে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কয়েক দিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন উত্তরের জনপদের নিম্ন আয়ের মানুষ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, পঞ্চগড়সহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। উত্তর হিমালয় দিয়ে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। এই কনকনে ঠান্ডায় গ্রামের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। এছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা না মেলায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হালকা কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। মাঘের এই শীতের তীব্রতায় নাকাল সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনো সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
অপরদিকে, শীতের তীব্রতায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, কয়েক দিন পর আবারও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বুধবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময়ে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে হয়। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন