বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘৩৬ দিনের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল। খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, কিন্তু তার রেখে যাওয়া দরবেশ বাবারা দেশে বসে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তা থেমে নেই, চলছে। আমাদের আন্দোলনও এখনো শেষ হয়নি। প্রস্তুত থাকুন, সামনে ৩৬ মাস কিংবা ৩৬ বছর আন্দোলন করতে হতে পারে।’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় সারজিস আলম ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া বড় মাঠে রিকশা শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও রাষ্ট্রগঠনে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, ‘দরবেশ সালমান এফ রহমান নিজের স্বার্থে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে একটি আসন করেছিল। দুই আসনকে এক করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে দুর্নীতি করে পাঞ্জাবির পকেট ভারী করেছে। আমরা চাই এই দুই উপজেলাকে দুটি আসনে অর্থাৎ পূর্বের ন্যায় ঢাকা -১ ও ঢাকা-২ আসনে ফিরিয়ে দেওয়ার। তাতে জনগণ যেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে পারে এবং সেই নির্বাচিত প্রতিনিধি যেন জনগণের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করতে পারে।’
সারজিস আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের পুলিশ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর তাদের দাস বানিয়েছিল। তারা সবাইকে টিস্যুর মতো ব্যবহার করেছিল। আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাই শ্রমিক থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষের ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. নিজাম উদ্দিন, নারীবিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, স্থানীয় নাগরিক কমিটির নেতা সালাহউদ্দিন, রিফাত হোসেন, ছাত্র আন্দোলনের শাকিল আহমেদ, সুরভী আক্তার, মিস রুমি, মো. মোস্তফা আহমেদ, আরাফ হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন