২২ বছর আগে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন চট্টগ্রামে খুলশী এলাকার ব্যবসায়ী মো. ইয়াহিয়া। মেসার্স সাজিল স্টিল ও মেসার্স আয়াস স্টিলের নামে এ ঋণ নেন তিনি। কিন্তু ব্যাংকের নির্দেশনার পরও ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাকে ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয় র্যাব-৭ কে। অবশেষে র্যাবের ভয়ে ২২ বছর পর খেলাপি ঋণের ৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন ব্যবসায়ী মো. ইয়াহিয়া।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের জাহান ভবন করপোরেট শাখা থেকে মেসার্স সাজিল স্টিল ও মেসার্স আয়াস স্টিলের নামে ঋণ নিয়েছিলেন খুলশী এলাকার ব্যবসায়ী মো. ইয়াহিয়া। মঞ্জুরিপত্রের শর্ত মোতাবেক যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় অর্থঋণ আদালতে মামলা করে অগ্রণী ব্যাংক। ২০০৮ সালে করা দুটি অর্থঋণ মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর আইনি লড়াই চালিয়েও পার পাননি ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান ঋণখেলাপি মো. ইয়াহিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন। তা কার্যকর করার জন্য র্যাব-৭ কে নির্দেশ দেন। এবার টনক নড়ে ব্যবসায়ী মো. ইয়াহিয়ার। তিনি খেলাপি ঋণ পরিশোধে উদ্যোগী হন। হাইকোর্ট থেকে সাময়িক জামিন নিয়ে বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রয় করে ২১ জানুয়ারি ব্যাংকের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের আইন কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ আইনি মারপ্যাঁচের কারণে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ কোনোভাবেই আদায় করতে পারছিল না ব্যাংক। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরই কেবল মো. ইয়াহিয়া খেলাপি ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসেন।
মন্তব্য করুন