চট্টগ্রামে বায়েজিদ থেকে গ্রেপ্তার ছয় ডাকাত ট্রিপল মার্ডারের আসামি আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী বলে দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় নগর পুলিশ।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার কুলগাঁও খলিল শাহ মাজার সংলগ্ন একটি বাড়ির দোতলা থেকে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে মো. আসিফ (২২), মো. হাসান (২০), মো. ফয়সাল (১৯), মো. আজিম উদ্দিন (২৩), মো. রিফাদ (১৯) এবং মো. জুয়েল (২০) নামে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে খবর পেয়ে আরও ৩/৪ জন পালিয়ে যায়। ওই এলাকায় ডাকাত সর্দার আসিফের নেতৃত্বে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলে আসামিদের ভাষ্য। তাদের কাছ থেকে একটি দেশি এলজি, ড্রিল মেশিন, কাটার মেশিন, কিরিচসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এ অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু মোবাইল পেয়েছি। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ এটিএম কার্ড পাওয়া গেছে। তাদের মূল হোতা এবং ডাকাতির কার্যক্রমের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ডাকাত সর্দার আসিফকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অপরাধীদের ধরতে সম্প্রতি পুলিশের অভিযানের সফলতা তুলে ধরে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৩ তারিখ থেকে প্রত্যেক থানা এলাকাতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। যেসব এলাকা অপরাধপ্রবণ সেগুলোকে আমরা আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। চোর-ছিনতাইকারীদের ধরতে আমাদের পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। আমাদের বড় ধরনের সফলতা রয়েছে। গত ৫ দিনে মোট ১৩১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছি এবং বিভিন্ন জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৯৩ জন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার এবং মাদক উদ্ধার করেছি।
সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে পুলিশ ব্যর্থ কিনা প্রশ্নের জবাবে রইছ উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী সাজ্জাদের কাছে থাকা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করাই আমাদের টার্গেট। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে এমন তথ্য রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে যখন গিয়েছিলাম তখন এসব অস্ত্র ব্যবহার করেই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা এবং তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করাই আমাদের প্রথম টার্গেট। তার বিষয়ে আমরা সক্রিয় আছি।
নগর পুলিশের উপকমিশনার আরও বলেন, আইনের চোখে অপরাধী অপরাধীই। যেখানেই যে পরিচয়েই যে কেউ অপরাধ করুক আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
মন্তব্য করুন