খুলনায় ট্যাংক-লরি শ্রমিকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনেও অব্যাহত থাকায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৬ জেলায় পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে খুলনা ও আশপাশের জেলাগুলোর পেট্রল পাম্পে জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে পেট্রল পাম্পের কর্মচারী ধীমান জানান, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। খালিশপুরে বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় আলী আজিমকে আসামি করা হয়। সোমবার আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বাগেরহাটের আল-আরাফা পেট্রল পাম্পে গিয়ে দেখা যায়, ডিজেল পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। পেট্রল ও অকটেনও সীমিত পরিমাণে অবশিষ্ট আছে, যা দিন শেষেই ফুরিয়ে যেতে পারে বলে কর্মচারীরা জানান। পেট্রল পাম্পের কর্মচারী ধীমান জানান, খুলনা নগরীর ফেরিঘাট মোড়ের মেসার্স কেসিসি পেট্রোলিয়ামে অকটেনের মজুত ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সামান্য পরিমাণ ডিজেল ও পেট্রল অবশিষ্ট রয়েছে, যা দুপুর নাগাদ ফুরিয়ে যেতে পারে। এমন সংকট খুলনা, বাগেরহাট, যশোরসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পেট্রল পাম্পগুলোতে দেখা গেছে। আন্দোলনকারীরা জানান, একই মামলায় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের আরও ৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, আলী আজিমের মুক্তি এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। কর্মবিরতির কারণে দিন দিন সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দ্রুত সমাধান না হলে খুলনা বিভাগসহ আশপাশের জেলাগুলোতে জ্বালানি তেল সংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংক-লরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আলী আজিমকে মুক্তি দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন