মাদারীপুরের শিবচরে জমি দখলে নিতে এক সাংবাদিকের বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বন্দরখলা ইউনিয়নের রাজারচর এলাকার মফিতউল্লাহ হাওলাদারের কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার শিবচর প্রতিনিধি ও মফিতউল্লাহ হাওলাদারের কান্দি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আবু সালেহ মুছার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে প্রতিবেশী দাদন বেপারীর ছেলে সাদ্দাম বেপারী গংদের। সেই বিরোধের জেরে সোমবার সকালে শিবচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি নেত্রী নাদিরা চৌধুরীর অনুসারী রাশেদুজ্জামান রাশেদের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোকজন আবু সালেহ মুছার বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
এ সময় ঘরের সব আসবাবপত্র বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়, ঘরের চালা ও টিনের বেড়া অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।
সাংবাদিক আবু সালেহর মা লতিফা ইয়াসমিন লতা বলেন, এই বাড়িতে আমরা প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছি। আজ সকালে বিএনপি নেতা রাশেদুজ্জামান রাশেদের নেতৃত্বে আমার বসতঘরে ভাঙচুর করেছে। এতে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবু সালেহ মুসার বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের বাড়িঘর সবকিছু ভাঙচুর করে ফেলেছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করেছে। তা না হলে ওরা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলত। আমরা এখনো চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছি। যে কোনো মুহূর্তেই ওরা আবারও আমাদের আক্রমণ করতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাশেদ বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। আমি ওখানে যাইনি। আমি এখন দূরে আছি।
ভাঙচুরে অংশ নেওয়া অভিযুক্ত সাদ্দাম বেপারী বলেন, ওরা দীর্ঘদিন আমাদের জমি দখলে রেখেছিল। আমাদের দলিল বলে আজ লোকজন নিয়ে ওদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছি এবং জমি দখলে গিয়েছি। ওই জমি আমার, সাব কবলা রয়েছে।
শিবচর থানার ওসি মোহাম্মদ রতন শেখ বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুতই সেনাবাহিনীসহ উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং ভাঙচুর প্রতিরোধ করি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি মোটরসাইকেল জব্দ করি। ধারণা করছি যে, ২৫ থেকে ৩০ জন এ কাজে অংশ নিয়েছে। তারা বসতঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন