জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বাড়ির কাজের ১০ বছরের শিশু কন্যা সামছুন নাহারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) এটিএম মিজানুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝগ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে কাজী মতিয়র রহমান ও তার স্ত্রী মোসা. রব্বানু বেগম। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা মাঝগ্রামের মতিয়র রহমান দম্পতির বাড়িতে কাজ করত ১০ বছর বয়সী সামছুন নাহার। ১৯৯৮ সালের ২৫ মে রাতে মামলার বাদী আফরোজা বেগম জানতে পারেন তার বোন সামছুন নাহার বিষ খেয়ে আক্কেলপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পুলিশ বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হতে শিশু সামছুন নাহারের সুরতহাল প্রতিবেদন ভিসেরা পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠায়। ২০০১ সালে পরীক্ষার প্রতিবেদনে সামছুন নাহারকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
নিহত সামছুন নাহারের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিয়র দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আক্কেলপুর থানার এসআই গোলাম মাওলা মামলাটি তদন্ত করে ৫ মার্চ মতিয়র দম্পতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এটিএম মিজানুর রহমান বলেন, শিশু সামছুন নাহার হত্যা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক দম্পতিকে যাবজ্জীবন দেন। জামিনে গিয়ে মোসা. রব্বানু পলাতক আছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। কাজী মতিয়র রহমানকে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন