বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত ১৭ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থাকে। শিক্ষা তো মানুষকে নৈতিকভাবে উন্নতি করে। মানুষের চরিত্রকে শক্তিশালী করে। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে প্রশ্নফাঁস যেন একটা সংস্কৃতি বা কালচারে পরিণত হয়েছিল। কারণ তিনি চাননি দেশের লোক উন্নত হোক, নৈতিকভাবে গড়ে উঠুক। যার ফল হয়েছে ভয়াবহ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মানিকগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের এক যুগপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশে কোনো শিক্ষাব্যবস্থা ভালো ছিল না। যখন রাষ্ট্র এবং সমাজে নৈতিকতার ধস নামে, তখন সর্বত্র তা প্রসারিত হয়, পুরোটাই ছেয়ে যায়। আমরা সেটাই দেখেছি শেখ হাসিনার আমলে। শুধু বাবজান আর ভাইবোনের নাম ছাড়া যেন কোনো ইতিহাস নেই, শিক্ষা নেই। এভাবে জোর করে এক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের রাষ্ট্র কায়েম করেছিল।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, শেখ কামালের নামেতো ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগ আছে। আপনি তো সে বিষয়ে জনগণের কাছে পরিষ্কার করেননি। আপনার পরিবারে মধ্যেতো সৎ মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। ইংল্যান্ডে যে আপনার ভাগ্নি এমপি হয়েছে সেখানেও জবাবদিহিতা রয়েছে। আপনি তাকে এবং তার ছোট বোন রূপন্তিকেও আপনার ব্যবসায়ীদের দ্বারা ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন। এটাই হচ্ছে আপনার বৈশিষ্ট্য। আপনার আমলে কোথায় পাঠাগার হবে, কোথায় গ্রন্থাগার হবে, কোথায় ভালো স্কুল হবে। আপনার আমলেতো শুধু মেগা প্রজেক্ট দেখিয়ে টাকা মারার ধান্দা ছিল। দেশের হাসপাতাল আর শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। গোটা জাতিকে জ্ঞান শূন্য অন্ধকারে ফেলে দিয়েছেন।
বর্তমান সরকার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সংস্কার করুন ভালো কথা। সবজি ছাড়া অন্য সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে। শুধু চালের দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় শেখ মুজিবের পতন হয়েছিল। প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করুন। পুলিশ প্রশাসনে বেশি সংস্কার প্রয়োজন। এখনো দেশে আওয়ামী লীগের পেতাত্মা ঘাপটি মেরে আছে। কাজেই সংস্কারে বিলম্ব হলে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্তব্য করুন