যশোরে হানি ট্র্যাপ ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় চক্রের নারীসহ ৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভিকটিমকেও উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া এ কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) শহরের খালধার রোড এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপশহর বি ব্লক এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ফাহিম হোসেন, বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী, মধুগ্রামের হারুন উর রশিদের ছেলে মারুফ হোসেন, শংকরপুর টার্মিনার এলাকার শুকুর আলীর ছেলে ছাব্বির হোসেন, বেজপাড়ার মৃত মতিয়ারের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন ওরফে রোহান ও বেজপাড়া দিঘিরপাড় এলাকার মৃত অশোক কুমার দাসের মেয়ে লক্ষী রানী সরদার ওরফে রাবেয়া খাতুন।
ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, ঝিকরগাছার ফুলবাড়ি গ্রামের আশিকুর রহমান এ চক্রের ফাঁদে পড়ে। আশিকুরকে তারা অপহরণ করে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আশিকুরের মা সালমা বেগম এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবিকে। পরে ডিবির এসআই আল মামুনের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতায় প্রথমে বিপুলের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর ডিবির টিম রাত সাড়ে ১২টায় শহরের খালধার রোড আমিনিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে আসামি ফাহিমকে আটক করে ও ভিকটিম আশিকুরকে উদ্ধার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয় খুলে বলেন। একপর্যায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের অন্য পাঁচসদস্যকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
ডিবি আরও জানান, মূলত লক্ষীর রানী সরদার ওরফে রাবেয়ার সঙ্গে আশিকুরের পূর্বপরিচিত ছিল। সেই সূত্র ধরে গতকাল শনিবার দুপুরে আশিকুরকে যশোরে নেওয়া হয়। পরে খালধার রোডের ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে ওঁৎপেতে বসে ছিলেন অন্যরা। এরপর তাকে ব্লাকমেইল করে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এমনকি বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয় এ চক্র।
ডিবি আরও জানায়, এ চক্রের কাজই মেয়েদের দিয়ে ছেলেদের কৌশলে ডেকে নিয়ে ব্লাকমেইল করা। এছাড়া কৌশলে কোনো নির্জন রুমে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা। অনেক সময় এ চক্রের সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন