চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার পৃথক তিনটি মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে নদভীকে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের আরেক মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় নদভী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, তিনটি হত্যা মামলায় রিমান্ড আবেদন ছিল। আদালত শুনানি শেষে দুদিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আরেকটি মামলায় নদভীকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরের চান্দগাঁও এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। এ মামলায় নদভীর পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। একই থানার ও একইদিন নগরের চান্দগাঁও ওয়াপদা এলাকায় মোহাম্মদ সাইমন হত্যা মামলায় নদভীর রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৫ আগস্ট নগরের ডবলমুরিং মনসুরাবাদ এলাকায় মো. আলম নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় নদভীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া নগরের সদরঘাট থানার ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের পৃথক এক মামলায় নদভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আবু রেজা নদভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেখান থেকে গত ১২ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এদিন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানার পাঁচ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।
মন্তব্য করুন