ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাস, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। গত পাঁচ দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে কুয়াশায় ঢেকে যায় সর্বত্র। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করাতে হয় যানবাহনগুলোকে। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় স্থবির ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষজনের জীবন। ঘন-কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা হিমেল হাওয়া দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।
কৃষকরা বলছেন, কয়েকদিন থেকে যে হারে শীত পড়েছে ঘরের বাইরে যাওয়াই যাচ্ছে না। কেমন করে বোরো ধান রোপণ করবো সেই চিন্তায় পড়েছি। ঠান্ডায় জমিতে যাওয়া যায় না। সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলার কাজ করি, তখন হাত-পা বরফ হয়ে যায়। কয়েক দিন থেকে ঠান্ডা নেই হঠাৎ করে তিন-চারদিন থেকে শীতে অবস্থা খুবই খারাপ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ (রোববার) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসজুড়ে তাপমাত্রা এ রকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন