হিমালয় পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস। এতে করে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। এছাড়া তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে অস্বাভাবিক ভাবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি ) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ে তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৫ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। গতকাল (শনিবার) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। দেখা মিলছে না সূর্যের। মধ্য বেলায় কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এ কারণে দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো জেলা। তাপমাত্রা উঠানামার মধ্যে রয়েছে। তবে মাঘের প্রথম সপ্তাহে ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘনকুয়াশা আর শীতের দাপটে জেলার তাপমাত্রা দিনদিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তরপশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। আজ (রোববার) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বিশেষ করে বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হারে থাকায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছে না বা সূর্যের আলোর কাঙ্ক্ষিত তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন