ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। সূর্যের দেখা মিলছে না গত চার দিন। ফলে শীতের দাপটে কাঁপছে পুরো জেলা। টানা কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রায় ছন্দপতন। একদিন বাড়ে তো আরেক দিন কমে। কোনো দিন রোদ তো কোনো দিন ঘন কুয়াশা। কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে শনিবার এ জেলায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে তীব্র হিম বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন।
অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান, কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
মন্তব্য করুন