স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা দেশের সাধারণ মানুষের কণ্ঠ টিপে ধরে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আমরা মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদের সামনে কর্মিসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি। ইয়াহ ইয়া বিন আশরাফের সঞ্চালনায় এবং ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।
এস এম জিলানী বলেন, গত ১৭ বছর এ ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের গলাটিপে ধরে রেখেছিল। তারা মানুষের কণ্ঠরোধ করে একদলীয় শাসন কায়েম করে রেখেছিল। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে ৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে গণতন্ত্র পেয়েছিলাম আমরা সে গণতন্ত্র কায়েম করতে চাই। যেখানে দেশের সকল মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। মানুষ স্বাধীনভাবে মন খুলে কথা বলতে পারবে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দীর্ঘ ১৭ বছর লড়াই এবং সংগ্রহ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নিজের জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ ১৭টি বছর হায়েনা হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়ে গেছে। গত জুলাই আগস্ট আন্দোলনের সময় প্রতিটি দিন প্রতিক্ষণ অতন্দ্র প্রহরীর মতো রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করেছে।
উপস্থিত বিভিন্ন ওয়ার্ডের বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমার ঘরে ও এলাকায় থাকতে পারিনি। বিভিন্ন মামলা হামলা দেওয়ার পরে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল সাংগঠনিকভাবে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা সিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেলোয়ার হোসেন রিন্টু, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ, মুনির হোসেন মৃধা, হাসান আলী। উপস্থিত ছিলেন, রফিকুল ইসলাম রফিক, মিলন খন্দকার, লিটন মেম্বার, রানা, রিয়াজ হোসেন।
মন্তব্য করুন