রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চিকিৎসার বদলে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগ

কুড়িগ্রাম মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্র। ছবি : কালবেলা
কুড়িগ্রাম মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্র। ছবি : কালবেলা

‘আমার বাবা-মা আমাকে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠায় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমি নির্যাতনের শিকার হই। ওখানে তারা প্রায় প্রতিদিনই আমাকে মারত। হাত পা, মুখ বেঁধে মারত। মারার সময় সাউন্ড বক্স বাজিয়ে মারে যেন চিৎকার বাইরে না যায়। তাদের নির্যাতনের কারণে আমি আমার বাম কানে শুনি না।’ এমন অভিযোগ তুলেছেন কুড়িগ্রাম মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে সদ্য চিকিৎসা নেওয়া সরোয়ার আহমেদ জিম।

জিম বলেন, ডাক্তার বলেছে আমার বাম কানের পর্দা ফেটে গেছে। কান দিয়ে এখনো রক্ত বের হয়। শুধু যে তারা প্রত্যেক দিন মারে এমনটা নয়। তারা দুই বেলা ৮টা-৯টা করে মরিচ খাওয়ায়। আমি ওখানে গিয়ে খুব নির্যাতিত হয়েছি।

তিনি বলেন, মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্রের যেসব কর্মী ও ম্যানেজার আছে তাদের যদি হাত পা না টিপে দেওয়া হয় তাহলে তারা মারেন। আমি নির্যাতনের কথা বাবা মাকে বলেছি, এজন্য তারা আমাকে হাত পা বেঁধে মেরেছে।

জিমের বাবা কুড়িগ্রাম জেলা সদরের পাওয়ার হাউস পাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আলজ মুন্না কালবেলাকে বলেন, আমার ছেলেকে আমি ২০২৪ সালের জুন মাসে মাসদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করাই। গত নভেম্বরে তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসি। আমার ছেলে ভুলবসত মাদকাসক্ত হয়েছিল। আমি সামান্য একজন দোকান কর্মচারী, অনেক চিন্তা করে তারপর ছেলেকে কুড়িগ্রাম মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রে রেখে আসি। কিন্তু ছেলেকে দেখতে গিয়ে দেখি তার অবস্থা শোচনীয়। তারা আমার ছেলেকে এত মেরেছিল, যে তার কানের পর্দা ফেটে গেছে। ডাক্তার বলেছে, তার কান নষ্ট হয়েছে।

কুড়িগ্রাম মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্রের পরিচালক শাহ্ জালাল রহমান জীবন কালবেলাকে বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে বিগত দেড় মাস থেকে চিকিৎসাকেন্দ্রে যাই না। তবে আমার চিকিৎসাকেন্দ্রে ওই ধরনের কোনো টর্চার হয় না। সবজায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সব রেকর্ড থাকে।

সিসিটিভি বন্ধ করে মারা হতো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার সেন্টারে হয় না। আমাদের সিসি ক্যামেরা কখনোই বন্ধ করা হয় না। এগুলো সব বানানো কথা।

কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে আমি বিষয়টি তদন্ত করব। কোনো মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্রে মারার নিয়ম নেই। তারা বোঝাবে ও কাউন্সিলিং করবে। তারা কোনোভাবেই তাকে মারতে পারে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নাগরিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলুন’

খুনের চার বছর পর একজনের মৃত্যুদণ্ড

ফিলিস্তিনিদের মুক্তিতে ইসরায়েলের নতুন শর্ত

আবরার হত্যার ফাঁসির আসামি জেল থেকে পালিয়েছে : আবরার ফায়েজ

সিসিসির লোগো পরিবর্তন, নৌকা আউট-শাপলা ইন

নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদে কারা থাকছেন

তামিম ইকবালসহ এবার চসিকের একুশে সম্মাননা পাচ্ছেন ১৪ জন

‘ক্ষমতায় বসে উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দল করলে বিএনপি মেনে নেবে না’

জামায়াতের কর্মসূচি স্থগিত

বিশ্বনেতারা পা রাখতেই কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন

১০

মাগুরায় দ্রব্যমূল্য কমানো ও নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

১১

‘স্থানীয় সরকারের আগে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন’

১২

‘ডিজিটাল টিকিটিং বদলে দিচ্ছে পরিবহন ব্যবস্থা’

১৩

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এবার আজহারির স্ট্যাটাস

১৪

বিয়ে করলেন শাকিলা পারভীন

১৫

এনআইবিপিএসে ফ্রোজেন সেকশন মেশিন দিল শেভরন

১৬

‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির পিছনে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে’

১৭

নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত

১৮

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের হুঁশিয়ারি

১৯

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করলেন হাসনাত

২০
X