সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
মারধরে আহত রাজিবুল হাসান কামারাখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও ঝাটিবেলাই গ্রামের মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত হায়দার আলী একই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আহত ছাত্রদল নেতা রাজিবুল হাসান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে গত ১৬ জানুয়ারি সকালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রামদা ও লাঠিসহ আমাদের বাড়িতে ঢোকে। এ সময় তারা আমাকে ও আমার ভাই নাহিদ পারভেজকে বেধড়ক মারধর করে। হায়দার আলীর দায়ের আঘাতে আমার হাতের আঙুল ও কপাল ফেটে যায়। স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে কামারখন্দ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় হায়দার আলী, রঞ্জু, সোহেল রানা ওরফে মনির, ইয়াছিন, জুয়েল, টুটুল ও রাকিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংগঠনের সভাপতিকে মারধর করায় স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী শেখ বলেন, ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে আমি মোটেও জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
ভদ্রঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছামাদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল নেতাকে মারধরের কথা শুনেছি। ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে। তাই এ বিষয়ে আমার কিছু করণীয় নেই। তবে থানা বিএনপি নেতারা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকলেসুর রহমান বলেন, ছাত্রদল নেতা রাজিবুলকে মারধর করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। আহত ছাত্রদল নেতাকে থানায় আসার জন্য বলেছি। তিনি যদি মামলা করতে চান, মামলা রেকর্ড করা হবে।
মন্তব্য করুন