সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় রিসোর্টকাণ্ডে আটক করে ৮ তরুণ-তরুণীকে বিয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে দক্ষিণ সুরমার রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে মোগলাবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- ছাত্রদল কর্মী সালেহ আহমদ, আলাউদ্দিন ফারাবি, সানোয়ার বখত রাহিন, হুসাইন আহমদ, কবির আহমদ, সুমন আহমদসহ অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এসএমপির রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে আলোচিত-সমালোচিত রিসোর্টকাণ্ডে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে ৮ জনকে বিয়ে পড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। এ ঘটনার পর রাতে রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে ৮ জনকে বিয়ে পড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। এ ঘটনার পর রাতে রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে ৮ জনকে বিয়ে পড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। এরপরই বিয়ে নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন এলাকাবাসী। জোরপূর্বক বিয়ের আইনি ভিত্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, তরুণ-তরুণীদের পক্ষে কেউ আইনের আশ্রয় নিলে অতি উৎসাহী মাতব্বরদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তরুণ-তরুণীকে আটকের পর জড়ো হওয়া এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ওই রিসোর্ট এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে এমন অভিযোগ তুলে তারা রিসোর্টের একটি অংশে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মন্তব্য করুন