সাভারের আশুলিয়ায় দারুল ইহসান ট্রাস্টের জমি দখল ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ওই ট্রাস্ট পরিচালিত দারুল ইহসান তাহফিজুল কোরআনুল কারীম ফাজিল মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানটির রেসিডেন্ট ডিরেক্টর ও সচিব শায়েখ হেলাল আহমেদ কবির বলেন, আমি ৩৩ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব পালন করে আসছি। বয়স ৭০-এর ওপরে। আমি ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারি না। তবুও ট্রাস্টি বোর্ডের অনুরোধে এখানে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং আমার বাসাও এই এলাকায়। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে জানতে পারি, রাজধানীর উত্তরা থানায় দায়ের একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আমাকেসহ মারুফ হোসেন মুকুল ও হারুন অর রশিদকে আসামি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে- আমি নাকি গুলি করে মানুষ মেরেছি। আমি তো অন্যের সহযোগিতা ছাড়া হাঁটতেও পারি না; সেখানে আমি কীভাবে মানুষ মারব? আমি এমন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানাই।
শিক্ষক ফজল উদ্দীন শিবলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে আহত হয়েছে। সেখানে আমাদের এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র সত্যিই কষ্টদায়ক। আমাদের ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার মারুফ হোসেন মুকুলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেটিও অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টাসহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, অতি দ্রুত মুকুলকে মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেন। দ্রুত দাবি না মানা হলে আমরা এর চেয়েও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় গত ৯ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের মামলা দারুল ইহসান ট্রাস্টের মারুফ হোসেন মুকুলকে ১৭৮ নম্বর, প্রতিষ্ঠানটির রেসিডেন্ট ডিরেক্টর হেলাল আহমেদ কবিরকে ১৭৯ নম্বর ও বোর্ড মেম্বার হারুন অর রশিদকে ১৮০ নম্বর আসামি করা হয়। এ মামলায় ২২ জানুয়ারি মুকুলকে আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন