ফরিদপুরের আলিয়াবাদে মো. মিরান খাঁ (৩৪) নামে এক যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ডাবলুর বিরুদ্ধে। নিহতের পরিবারের দাবি, বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে হত্যা করে গণপিটুনির নাটক সাজিয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে গদাধর ডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিরান খাঁ উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের উত্তর সাদীপুর এলাকার জালাল খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অন্তত চারটি মামলা রয়েছে। তিনি আলিয়বাদ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরান খাঁ গুচ্ছগ্রামে বসবাস করতেন। গুচ্ছগ্রামটিতে মিরান খাঁকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে সকালের দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার বেশ আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ভাই ইরান খাঁ অভিযোগ করেন, মিরানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাব্লুর বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গদাডাঙ্গী এলাকায় মিরান মাছ শিকার করতে যান। এ সময় স্থানীয় বালু ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে গুচ্ছ গ্রামেরই আরেকটি ঘরে তাকে নিয়ে যায়। সে ঘরের মধ্যে কিছু মালপত্র ভাঙচুর করে ডাকাতির নাটক সাজায়।
আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ডাবলু কালবেলাকে জানান, সে থাকে গুচ্ছ গ্রামে, তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যবসা নেই, দ্বন্দ্বও নেই। আপনারা এলাকায় আসেন, শোনেন ও তদন্ত করে খোঁজ নেন। স্থানীয় পর্যায়ে আমার প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় একটি পক্ষ আমাকে ফাঁসানোর জন্য তার পরিবার দিয়ে এসব বলাচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমরা শুনেছি গতকাল রাতে গুচ্ছগ্রাম এলাকার লোকজন মিরান নামে এক যুবককে চোর-ডাকাত সন্দেহে প্রচণ্ড মারধর করে। পরে হাসপাতালে তার মরদেহ আনা হয়। সংবাদ পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল করি। পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনাস্থল থেকে একটা দা এবং ইয়ারগান উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন