পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন পর আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এতে তীব্র শীতে জবুথবু পঞ্চগড়ের জনজীবন। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে ১১-১২ কিলোমিটার বেগে। গত কয়েকদিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। দিনের বেলায় সহসা সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, লোকালয়। সে সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
অপরদিকে, শীতের তীব্রতায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন