ব্যস্ততম সড়কের মাঝখানে গোলচত্বর। এর ওপর ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে একটি মিনার। যাতে শোভা পাচ্ছে সবুজ গম্বুজ ও ইসলামিক ক্যালিওগ্রাফি কালেমা। যার চারপাশে রয়েছে আর্চের মতো অ্যারাবিয়ান ডিজাইন।
দৃষ্টিনন্দন এ ইসলামিক স্মৃতিস্তম্ভটির অবস্থান চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকায় ব্যস্ততম অলি খাঁ মোড়ে। ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ স্তম্ভটি তৈরি করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) স্তম্ভটি উদ্বোধন করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
চসিক সূত্রে জানা যায়, সড়কে শৃঙ্খলা আনার পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতে নগরের চকবাজার অলি খাঁ মোড়ে এই স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ঐতিহাসিক অলি খাঁ মসজিদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্মিত এ স্মৃতিস্তম্ভটির ব্যাস ১৭ ফুট। আর উচ্চতা ২৫ ফুট। স্তম্ভটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে আট মাস। দৃষ্টি কাড়তে স্মৃতিস্তম্ভে করা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা। একে ঘিরে সড়কের ল্যান্ড মার্কিং ও ট্র্যাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইসলামিক এই স্মৃতিস্তম্ভটির ডিজাইন করেছেন পোর্টসিটি ইউনিভার্সিটির সাবেক ডিন শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি কালবেলাকে বলেন, অলি খাঁ মসজিদের একটি ঐতিহাসিক স্থানিক গুরুত্ব আছে। সপ্তদশ শতকে নবাব অলি বেগ এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। সেই কারণে এই গোল চত্বরের ডিজাইনে অ্যারাবিক ডিজাইনের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্তম্ভের উপরে একটি সবুজ গম্বুজ। এর নিচে রয়েছে ইসলামিক ক্যালিওগ্রাফি কালেমা। এর নিচে প্যানেলে রয়েছে অ্যারাবিক ডিজাইন।
চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ইসলামিক স্মৃতিস্তম্ভটির উচ্চতা ২৫ ফুট আর ব্যস ১৭ ফুট। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। সময় লেগেছে আট মাস।
তিনি আরও বলেন, এ মোড়ে রয়েছে ৪টি সড়কের সংযোগ। যেখান দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৬০০ এর অধিক যানবাহন চলাচল করে। ইসলামিক স্তম্ভটি নির্মিত হওয়ায় সেখানে এলোমেলোভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। একদিকের গাড়ি অন্যদিকে চলাচলের সুযোগ বন্ধ হবে। স্মৃতিস্তম্ভের পাশে তিন লেইনে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা আছে। ফলে সেখানে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায়ও শৃঙ্খলা আসবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যবর্ধনে ইসলামি স্মৃতিস্তম্ভটি ভূমিকা রাখবে। অলি খাঁ বেগ মসজিদ একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এর ঐতিহাসিক পটভূমিকা রয়েছে। এই ইসলামিক স্মৃতিস্তম্ভটি আমরা করেছি যাতে পরবর্তী প্রজন্ম বুঝতে পারে এ মসজিদটির গুরুত্ব অনেক বেশি। এ মসজিদের ঐতিহ্য, নিদর্শন ও পুরাকীর্তি শুধু চট্টগ্রামের মানুষকে নয় বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে আকৃষ্ট করে।
মন্তব্য করুন