বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কেরামত আলী মার্কেটের একটি গোডাউন থেকে ৬০০ বস্তা ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রির জন্য) সরকারি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোডাউন থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চালগুলো জব্দ করা হয়।
আটক দুজন হলেন- ফকিরহাট উপজেলার কাথলী গ্রামের প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে আশাতীত মজুমদার (২১) ও বারাশিয়া গ্রামের দবির উদ্দীন ভূইঁয়ার ছেলে আব্দুর রসূল (৪৫)। আশাতীত হলেন মজুমদার ভান্ডার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গোডাউনের মালিক প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে এবং আব্দুর রসূল ওই গোডাউনের কর্মচারী।
পুলিশ জানায়, নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশে কম মূল্যে চাল বিক্রি চলছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মজুমদার ভান্ডার নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত ৩০ কেজির ৬০০ বস্তা ওএমএসের চাল বাইরে বিক্রির উদ্দেশ্যে নুরজাহান ব্র্যান্ডের বস্তায় পরিবর্তন করার সংবাদ পায় পুলিশ। এ সময় অভিযান চালিয়ে ঘনটাস্থল থেকে সরকারি চালসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে চালগুলো জব্দ করা হয়।
পুলিশ আটক করে নেওয়ার সময় মজুমদার ভান্ডারের মালিকের ছেলে আশাতীত মজুমদার জানান, বগুড়ার করতোয়া চাউল কলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ থেকে তারা ৩০ কেজি ওজনের ৬৬৭ বস্তা ওএমএসের চাল ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় কেনেন। বুধবার সকালে সেই চাল গোডাউনে পৌঁছলে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য নুরজাহান রাইস নামে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বস্তায় পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ এসে তাকে ও একজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেন এবং খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত সব চাল জব্দ করেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, রাতে অভিযান চালানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে চালগুলো জব্দ করা হয়। এগুলো থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন