খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে করেন শিক্ষকতা, আন্দোলনের মুখে একটি থেকে পদত্যাগ

এনইউবিটি’র অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। ছবি : কালবেলা
এনইউবিটি’র অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। ছবি : কালবেলা

ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (এনইউবিটি) অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীন। তিনি এনইউবিটিতে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন অধ্যাপক হয়েও বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (এনইউবিটিকে) এ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মনোনীত ভিসি, প্রোভিসি বা ট্রেজারার নেই। কিন্তু অধ্যাপক ড. এটিএম জহির উদ্দীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিনের পূর্ণকালীন অধ্যাপক হয়েও চুক্তিভিত্তিকভাবে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ পদে মোটা অঙ্কের বেতন নিচ্ছিলেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিপন্থি।

জানা যায়, মাত্র ৩০ হাজার টাকা সম্মানির চুক্তি করা হলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাসিক দেড় লাখ টাকার উপরে বেতন নেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএর অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে অধ্যাপক জহির দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টি। জুলাই-আগস্ট এ ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালীন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি অংশ ছাত্রদের পক্ষে মানববন্ধন করলে জহির উদ্দিন তার বিরোধিতা করে আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এর পর থেকেই তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তার পদত্যাগের দাবি তোলে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় পদ আঁকড়ে বসেছিলেন তিনি। তবে বুধবার আন্দোলনের মুখে ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি -এর সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল কবির জানান, স্যারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছিল। তার ধারাবাহিকতায় ছাত্রদের দাবির মুখ তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহালমের মোবাইল ফোনে করলেও তিনি তিনবার রিসিভ করে কথা বলেননি।

অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে তার অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানানো হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্রিপ্টো কারেন্সিকে জাকাতের অন্তর্ভুক্ত করল মালয়েশিয়া

এনআইএসটির নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও পুরস্কার বিতরণ

বিএনপির ইউনিয়ন অফিস ভাঙচুর

‘আগামী ২০ বছর রাজনীতিতে তরুণরা প্রভাব ফেলবে’

খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফের কাছে বরিশাল

বিদায় অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটাল বহিষ্কৃতরা

আ.লীগকে তৃতীয়বার গণহত্যার সুযোগ দেওয়া হবে না : রাশেদ খান

বিএনপি নেতারা শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিল : জুয়েল

জাবির হলে লুকিয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা তানভীর ও সাইফুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১০

দাভোসে বৈঠকে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা / বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান

১১

সিঙ্গাপুর গেলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

১২

আগুনের গুজবে যাত্রীদের ঝাঁপ, কাটা পড়ে নিহত ১২

১৩

শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

১৪

ঢাবি শিবিরের কমিটি ঘোষণা

১৫

চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস

১৬

হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

১৭

তামাক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনের নির্দেশ স্বাস্থ্য সচিবের

১৮

দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা ৫০ হাজার

১৯

গুচ্ছ থেকে বের হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

২০
X