তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও’ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিএনপির যৌথ আয়োজনে সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এ সমাবেশে অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর মরণদশা হয়। আর বর্ষায় উজানের পানিতে নদীর তীরে বন্যা ও ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষরা। তিস্তাপারের মানুষের দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না। এতে তিস্তাপারের মানুষ আশায় বুক বাঁধে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবিলম্বে তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। তিস্তা নদীতে সারা বছর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ, তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বের সংযোগ স্থাপন ও নৌ চলাচল পুনরায় চালুর দাবি জানাই।
আলহাজ সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ বলেন, তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। নদীভাঙনের শিকার ভূমি-গৃহহীন ও মৎস্যজীবী মানুষের পুনর্বাসন, তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও এর তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় ও কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলা এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তাপারের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন