উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে। এতে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘনকুয়াশায় আছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। দেখা মিলছে না সূর্যের।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। দিনের বেলায় সহসা সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, লোকালয়। সে সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে বলেন, ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ, যা গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে ঘন কুয়াশায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন