সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হত্যা-দুর্নীতির বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে নিরীহ জনসাধারণকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নির্বিচার গণহত্যা দেশের রাজনীতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট মহানগরীর সদর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে শহীদ মো. শরীফ উদ্দিনের ১০ম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি ১৮ দলীয় জোটের ডাকে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ রোড অবরোধ পালন করতে গিয়ে কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বলাউরা গ্রামের বাসিন্দা জামায়াতের কর্মী মো. শরীফ উদ্দিন শহীদ হন। তাকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। শরীফ উদ্দিন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স সমাপ্ত করে বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শরীফকে হত্যার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী অপশক্তি একটি স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করেছিল। এ খুনিদের জাতি কখনো ক্ষমা করবে না।
তিনি আরও বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হত্যা-দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ২৪-এর রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টদের পতন নিশ্চিত হলেও তাদের দোসররা এখনো নানাভাবে সক্রিয় রয়েছে। এদের চিহ্নিত করতে হবে। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি, লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সর্বত্র জনমত গড়ে তুলতে জামায়াতের জনশক্তিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সদর উপজেলা আমির নাজির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারি আমিনুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইসলাম উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মনাফ, একই ইউনিয়নের আমির আব্দুস সামাদ, টুকেরবাজার ইউনিয়ন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জালালাবাদ ইউনিয়ন আমির মাওলানা ইসকন্দর আলী, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, ছাত্রশিবির নেতা লাহিন আহমদ, আবদুল কাইয়ুম, আবুল কাসেম, দিলোয়ার হোসেন ও ফয়জুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন