রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়েছে। জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আবুল কালাম আজাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র থাকাকালে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই পৌরসভারই ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মামলায় সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও আসামি হয়েছেন রাজশাহীর নিউমার্কেট এলাকার ঠিকাদার খালেদ মোহাম্মদ সেলিম, তাহেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের এবং উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল হক।
দুদক সূত্র মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদক জানায়, পরিবেশ ও জলবায়ু তহবিলের ১৩ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্প পেয়েছিল তাহেরপুর পৌরসভা। এই প্রকল্পে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার ২৫ টাকায় ৪১৫ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ ছিল। দুদক অভিযোগ পায়, টেন্ডারে থাকা পরিধির চেয়ে কম বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়, কিন্তু বিল পুরো কাজেরই তোলা হয়।
দুদক অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাজ হয়েছে ৪০৫ মিটার, কিন্তু ঠিকাদারকে পুরো ৪১৫ মিটারেরই বিল দেওয়া হয়েছে। ১০ মিটার কাজ না করলেও অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬১ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এই টাকা আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, মামলার কপি জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে আছেন। তিনি মেয়র থাকাকালে জলবায়ু তহবিলের ওই প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাছ থেকে আদায় করা ভ্যাট ও ট্যাক্সের ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ টাকা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতেরও অভিযোগ আছে। কৃষি ও পরিবেশ অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায় ওই আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ে।
মন্তব্য করুন