বগুড়া সদর আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান সফিকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই বগুড়া শহরের কাঁঠালতলা মোড়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আব্দুল মজিদকে আহত করার মামলায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা তিন দিনের রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন। এ সময় সফিকের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
বগুড়া সদর উপজেলার আকাশতারার জেল্লাল ফকিরের ছেলে আব্দুল মজিদের দায়ের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে তিনিসহ দুপর ২টার দিকে শহরের কাঁঠালতলা মোড়ে পৌঁছলে মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে জেলহাজতে কারাগারে থাকা আসামি আওয়ামী লীগ, যুবলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, পেট্রলবোমা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও শটগান থেকে গুলি ছোড়ে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং মিছিলকারীদের মারধর করে আহত করে। এ সময় শটগানের গুলি বাদী আব্দুল মজিদের ডান চোখে ও মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হন। আহত আব্দুল মজিদকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডেকেল কলেজ ও পরে ঢাকায় জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
আসামি আবু সুফিয়ান সফিকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ মারধর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১০টি মামলা রয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি আবু সুফিয়ান সফিক ও তার স্ত্রী মাহফুজা খানম ওরফে লিপি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন