পটুয়াখালীর কলাপাড়া আলীপুরে বিআইডব্লিউটিএ পল্টুন ইজারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। এতে এক মৎস্য দল নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি নুরু মিয়াও আহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই নেতার নাম রুহুল আমিন মাঝি (৪৭)। তিনি উপজেলার মহিপুর থানা মৎস্য দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আহত ঘাট ইজারা প্রতিনিধি নুরু মিয়া কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় রয়েছেন। অপরদিকে মহিপুর থানা মৎস্য দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মাঝিকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুমসাদ সায়েম পুনম উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলীপুর মৎস্য বন্দরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ফিশিং ট্রলার থেকে টাকা উত্তোলন করেন নুরু। এসময় রুহুল আমিন মাঝি কীসের টাকা উত্তোলন করে জানতে চাইলে তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছুক্ষণ পরে নুরু ও লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হাওলাদারের নেতৃত্ব রুহুল আমিন মাঝির ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে জানান, ৫ আগস্টের পরে নুরু বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গেও অসদাচরণ করে সে। আ.লীগের আমলে তাদের গা ঘেঁষে চললেও, পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেতাদের গা ঘেঁষতে শুরু করেন। নিজেকে এখন বড় বিএনপি নেতা দাবি করেন নুরু।
এ বিষয়ে ঘাট ইজারা প্রতিনিধি নুরু বলেন, আমি ঘাট ইজারাদার তামিম মুন্সির হয়ে এখানে টাকা উত্তোলন করি। সকালে টাকা উত্তোলনে রুহুল আমিন মাঝি বাধা দেয় এবং আমাকে মারধর করে। আমার মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তুলাতলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় রয়েছি।
এ বিষয়ে ঘাট ইজারাদার তামিম মুন্সী বলেন, আমি পটুয়াখালী থেকে আলীপুর ঘাটটি ইজারা নিয়েছি। নুরু নামে একজনকে দিয়ে এখানে কালেকশন করা হয়। নিয়মানুসারেই টাকা উত্তোলন করা হয়। আজকের মারামারির বিষয়টি আমার জানা নেই।
লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার বলেন, ঘাটে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আপাতত ঘাটের সব রকম কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটের ইজারা প্রতিনিধি নুরু আমাদের দলের কেউ না।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন