সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর পাড়ে দুর্গম চরাঞ্চলে কাঁচামরিচ চাষা করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। পলিমাটিতে তুলনামূলক কম খরচে কাঁচামরিচের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। চরের উৎপাদিত কাঁচামরিচ আকারে পরিপুষ্ট ও রং ভালো হওয়ায় এর চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে ফসলী জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে।
জানা যায়, পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মৌসুমি মরিচ চাষ বেশি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ধুধু বালু চরের বিস্তীর্ণ এলাকায় মরিচের চাষ শুরু করেন কৃষকরা। পলি মাটির উর্বরতা থাকায় কম খরচে মরিচ চাষে ফলন ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
স্থানীয় বাজার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাইলগাঁও চরে উৎপাদিত কাঁচামরিচ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনতে আসছেন পাইকাররা।
পাইলগাঁও এলাকার চরের কৃষক রমিজ আলী বলেন, কয়েক দফা বন্যার পানি আসা-যাওয়া ও অতিবৃষ্টিপাতের কারণে মরিচ চাষে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল। পরে চরাঞ্চলে মরিচ চাষ শুরু করেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে মরিচের চাষ ভালো হয়েছে। এতে ক্ষতি পুশিয়ে লাভবান হতে পারব। এছাড়া রোগবালাই না থাকায় এবার মরিচের ফলন বাম্পার হয়েছে।
তেকানি চরের কৃষক কানু দাস জানান, মরিচ চাষে তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন। ৪০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছি।
জগন্নাথপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার কাউছার আহমেদ কালবেলাকে জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পাইলগাঁও এলাকায় ৬ একর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মরিচ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগামীতে আরও বেশি জমিতে মরিচ চাষে আগ্রহী বলে মনে করি।
মন্তব্য করুন