শীতে কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। কনকনে ঠান্ডা আর হাঁড় কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন। তীব্র শীতে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
জানা যায়, ভোরের কুয়াশার আর হিমেল হাওয়া কাবু করে দিয়েছে মানুষ ও প্রাণীকুল। গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
বোরো ধান লাগানো শ্রমিক বিল্লাল হোসেন বলেন, কাদা পানিতে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভ্যানচালক সাদেক আলী বলেন, কিছুদিন শীত একটু কম ছিল। আজ আবার তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। এতে ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ অফিস জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ১০ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। সেগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ৩০ লাখ টাকা দিয়েছে। এ টাকা চারটি উপজেলার ইউএনওদের দেওয়া হয়েছে। ইউএনওরা শীতবস্ত্র (কম্বল) কিনে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন এ অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। পরে ২৬ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা দুদিন একটু বাড়বে। তারপর আবারও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন