নোয়াখালীর সুবর্ণচর ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ মহি উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাফর উল্যাহ ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলমের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মহি উদ্দিন চৌধুরীর।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আক্তার মিয়ার হাট সংলগ্ন মহি উদ্দিনের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়।
এ সময় তার বাসা থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা, ৩ ভরি সোনা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করা হয় বলে জানিয়েছেন মহি উদ্দিন চৌধুরী। চান্দা চোরা, কাল্লা ডাকাত, শাহাদাত চোরা, কামরুল, কালা, নাহিদসহ ২০-৩০ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভাঙচুর করে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মহি উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আমার প্রজেক্টে অনেকবার মাছ লুট করেছে স্থানীয় যুবদলের কিছু নেতা। এবার দীর্ঘদিন পর আমি আমার পরিষদের উদ্দেশ্যে বাড়িতে এলে তারা আমাকে আক্তার মিয়ার হাট বাজারে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে যুবদলের সভাপতি জাফর উল্যাহ ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম এবং মাসুদের লোকজন আমাকে আক্রমণ করার জন্য বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমি কোনো রকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও তারা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে লুটপাট চালায়।
এর আগে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে তা দিতে রাজি না হওয়ায় এ হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মহি উদ্দিন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদলের সভাপতি জাফর উল্লাহ বলেন, এ হামলার সঙ্গে আমার ন্যূনতম কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একটিপক্ষ আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য আমার নাম জড়িয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।
এ ছাড়া অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করতে সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন