বগুড়ার গাবতলীতে নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হৃদয় হোসেন গোলজার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে অপহরণের পর একই পরিবারের ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বাবুল আকন্দ (৪৫), খুকি বেগম (৭০), আবুল আকন্দ (৫৫), বিউটি বেগম (৪০), আ. হান্নান (৪০) এবং পান্না (৩৮)। আহতদের মধ্যে বাবুল ও খুকিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাবুলের মাথায় ১৫টি সেলাই দিতে হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গাবতলীর সুখানপুকুর ইউনিয়নের চামুরপাড়া গ্রামের মৃত অমেদ আলীর ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আব্দুল হান্নান (৪৫) প্রতিদিনের মতোই শনিবার ভোরে সিএনজি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সকালে নাড়ুয়ামালা আমতলা এলাকা থেকে হান্নানকে সিএনজিসহ অপহরণ করা হয়। প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার ও তার লোকজন নাড়ুয়ামালা থেকে অপহরণ করে গ্রামের বাড়ি চাকলায় আটকে রেখে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে।
এদিকে অপহৃত হান্নানের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে চাকলা গ্রামে গেলে প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার ও তার লোকজন বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করে এবং নগদ দেড় লাখ টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় হান্নানের ছোটভাই জিল্লুর রহমান (৩৩) গাবতলী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গাবতলীর নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হৃদয় হোসেন গোলজারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার ওসি আশিক ইকবাল কালবেলাকে বলেন, এ-সংক্রান্ত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন