ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কিত্তা, বোয়ালিয়া ও বিভাগদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর নকুলহাটি বাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারির জেরে রোববার সকালে উপজেলা যুবদল নেতা ইউপি সদস্য হাসান আশরাফের বাড়িসহ ৩টি বাড়িতে হামলা করে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাছির মাতুব্বরের সমর্থকরা। এ সময় হাসান আশরাফের একটি খড়ের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় নাছির মাতুব্বারের সমর্থকরা। এ ছাড়াও বোয়ালিয়া গ্রামের মাজেদ মোল্যা ও বিভাগদী গ্রামের শহীদ সরদারের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করে তারা। এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
যুবদল নেতা হাসান আশরাফ কালবেলাকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় নকুলহাটি বাজারে মারামারির ঘটনার সময় আমি আমার নেত্রী শামা ওবায়েদের সঙ্গে বল্লভদী ইউনিয়নে ছিলাম। রোববার সকালে হঠাৎ নাছির মাতুব্বর তার কয়েকশ লোক নিয়ে অতর্কিত আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। আমার একটি খড়ের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফিরে যাওয়ার সময় বোয়ালিয়া গ্রামে বিএনপি নেতা মাজেদ মোল্যার বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। এ ছাড়াও একাধিক জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাছির মাতুব্বর কালবেলাকে বলেন, শনিবার বিকেলে নকুলহাটিতে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে হাসান আশরাফের সমর্থকরা। তারই জেরে আজ সকালে আমার সমর্থকদের সঙ্গে হাসান আশরাফের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা তার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে তা আমার জানা নেই।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান সাকিল কালবেলাকে বলেন, শনিবার থেকেই আমরা এই এলাকায় অবস্থান করছি। দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শান্ত থাকার আহ্বান করেছি। তারপরও রোববার সকালে নাছির মাতুব্বরের লোকজন কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন