বিপিএল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণ না হলেও, প্রথমবারের মতো সেই ট্রফি গেল রাজশাহীতে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর আলুপট্টি মোড়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রদর্শনীর জন্য উন্মোচন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাসিকের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ট্রফির উন্মোচন করেন। পরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেখানে ট্রফি দেখতে শিক্ষার্থী, ক্রিকেটপ্রেমীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ভিড় জমানো।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়ে অনেকেই উচ্ছ্বাসিত। অনেকেই সেলফি তুলে সাক্ষী হয়ে থাকছেন ট্রফির সঙ্গে। অনেকে প্রত্যাশা করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যেন এবার রাজশাহীর ঘরেই আসে।
এসময় স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ আহম্মেদ বলেন, এর আগে এমন ট্রফি রাজশাহীতে আসেনি। এবারই প্রথম এলো। তাই সকাল থেকেই উচ্ছ্বসিত ছিলাম। ট্রফি দেখতে পেয়েই প্রথমে ছবি তুলেছি। আশা করছি এই ট্রফি যাতে রাজশাহীর ঘরেই আসে।
ট্রফি পেয়ে মারিয়া খাতুনও তুলেছেন সেলফি। তিনি বলেন, আমার বয়সে এমন একটি ট্রফি রাজাশাহীতে দেখিনি। তাই সেলফি তুলেছি সাক্ষী হিসেবে রাখতে। এটি আমাদের রাজশাহীবাসীর বড় পাওয়া।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রিকেট খেলোয়াড় স্যার গারফিল্ড সোবার্স আজ থেকে ১৫-১৬ বছর আগে রাজশাহীর মাঠ প্রদক্ষিণ করে রাজশাহীর মাঠকে বিশ্বমানের মাঠ হিসেবে ঘোষণা করেন। আমাদের মান সম্পন্ন হোটেলও রয়েছে। ক্রিকেট খেলার স্থান হিসেবে রাজশাহী সব সময় এগিয়ে ছিল। এক সময় বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টেস্ট টিমের বেস্ট ইলেভেনের সাতজনই ছিল রাজশাহীর। আজ রাজশাহী আবারো জেগে উঠেছে। এসময় রাজশাহী অঞ্চলে ভালো মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরিসহ আগামীতে রাজশাহীতে বিপিএল আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদও ব্যক্ত করেন মিনু।
ট্রফি প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহম্মেদ বলেন, ট্রফিটি আলুপট্টি মোড় থেকে রাজশাহী কলেজ নগর ভবন রেলগেটসহ ৫টি স্থানে প্রদর্শিত হবে। সাধারণ মানুষ খুব কাছ থেকেই দেখতে পাবেন বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর ট্রফিটি যাবে রংপুরে।
মন্তব্য করুন