আব্দুল্লাহ আল মামুন, মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অজানা কারণে ৭ বছর ধরে বন্ধ মনিরামপুরের ঐতিহ্যবাহী বইমেলা

মনিরামপুরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ভ্রাম্যমাণ বইমেলায় ক্রেতাদের ভিড়। ছবি : কালবেলা
মনিরামপুরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ভ্রাম্যমাণ বইমেলায় ক্রেতাদের ভিড়। ছবি : কালবেলা

অজানা কারণে সাত বছর ধরে বন্ধ রয়েছে যশোরের মনিরামপুরের ঐতিহ্যবাহী বইমেলা। ২০০০ সাল থেকে মনিরামপুর শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে এ বইমেলা অনুষ্ঠিত হতো। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মেলার আয়োজন করা হয় মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে। পরে নানা জটিলতার কারণে আর বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এদিকে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে মনিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে একটি স্টল করা হয়েছে। সেই স্টলে শোভা পাচ্ছে ১০ হাজারের বেশি বই। বইমেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাসহ বইপ্রেমীরা ছুটে আসছেন। মেলায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নিজস্ব বই ছাড়াও অন্যান্য প্রকাশনারও বই রয়েছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ বইমেলার স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়। বড়দের সঙ্গে মেলায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভিড় করছে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা প্রাঙ্গণে। কেউ বই কিনছেন, কেউ দেখছেন, কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউবা মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

মেলায় আসা তাসনিমুল হাসান প্রান্তের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘ সাত বছর পর স্কুল মাঠে বইমেলায় আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তবে, মনিরামপুরের ঐতিহ্যবাহী বইমেলা আবারও চালু হোক এটা আমাদের প্রাণের দাবি।

কলেজশিক্ষার্থী তাব্বাসুম ইয়াসমিন জানান, একটা সময় ছিল প্রতিবছর বইমেলার আয়োজন করা হতো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন পরিবারের সঙ্গে আসতাম মেলা দেখতে।

ভ্রাম্যমাণ বইমেলার মনিরামপুরের ইউনিট ইনচার্জ কামরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, দেশব্যাপী আলোকিত মানুষ গড়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বিশেষ উদ্যোগ ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। এখানে দেশি-বিদেশি সব প্রখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশিত ১০ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে। পাঠকরা পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী বই কিনতে পারবেন এ বইমেলা থেকে। পাঁচজন কর্মকর্তা মনিরামপুরের এই মেলার দেখভাল করছেন।

মনিরামপুর শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক সঞ্জয় দেবনাথ কালবেলাকে বলেন, বছরের জানুয়ারি মাস আসলেই মনিরামপুরের ঐহিত্যবাহী বইমেলা কার্যক্রম শুরু হতো। সাত দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হতো মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। চেষ্টার ঘাটতি ছিল না। তবে, মহামারি করোনা ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সাত বছর বইমেলার আয়োজনটা বন্ধ আছে। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা পেলেই পুনরায় ঐতিহ্যবাহী বইমেলা আয়োজন করা সম্ভব হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবদুস সোবহান গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলবের দাবি

নেইমারের পরিবর্তে যে দুই তারকার ‍দিকে নজর আল-হিলালের

বাংলাদেশ থেকে নেপালে গেল ৪২ টন আলু

আদালতে বিচারক নেই চার মাস

‘অথচ জিয়াউর রহমানের নামে কোথাও কোনো জায়গা ছিল না’

কুকীর্তি ফাঁস করায় আল জাজিরার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে চেয়েছিলেন হাসিনা

‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে চাঁদাবাজ-মাস্তানরা রাজনীতি করতে পারবে না’ 

‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

ওয়ার্ডবয়দের হেনস্তায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

১০

আ.লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নেই, যারা অন্যায়কারী তাদের বিচার চাই : মিন্টু

১১

একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য বিএনপি নেতার, কড়া প্রতিবাদ জামায়াতের

১২

ইলিশের দাম কমাতে চায় সরকার : মৎস্য উপদেষ্টা

১৩

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার স্থাপনে নতুন নীতিমালা

১৪

যাত্রা শুরু করল ‘ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’

১৫

রাজনৈতিক ধারাকে পাল্টাতে চাই : জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা

১৬

১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা

১৭

আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক

১৮

‘আমলাদের প্রভাবে একের পর এক জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে’

১৯

নসরুল হামিদের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

২০
X