আলোচিত ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর লালমনিরহাটের মাহফিলে মোবাইল ফোন এবং নারীদের সোনার অলংকার চুরির ঘটনায় থানায় করা জিডির সংখ্যা বেড়ে ৪৭টি হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার রাতে হয়েছে ১১টি জিডি এবং রোববার দুপুর পর্যন্ত হয়েছে ৩৬টি।
এসব চুরির ঘটনায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে আটক ২২ নারীকে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
থানা সূত্র জানায়, বিশাল জনসমুদ্রের মাঝে ঢুকে আটক অভিযুক্তরা চুরির ঘটনা ঘটায়। হাতেনাতে ২২ নারীকে জনগণ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসব চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৭টি জিডি হয়েছে। চুরির ঘটনায় জিডি আরও বাড়তে পারে বলেও জানায় থানা সূত্র।
মাহফিলে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, অতিরিক্ত ভিড়ের মাঝে সংঘবদ্ধ চোরচক্র কৌশলে মোবাইল, টাকা ও সোনার অলংকার হাতিয়ে নেয়। অনেকেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই চুরির শিকার হন। ফলে থানা চত্বরে জিডি করতে ভুক্তভোগীদের ভিড় এখনো অব্যাহত।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুর-নবী কালবেলাকে জানান, এখন পর্যন্ত অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি এবং অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। শনিবার বিকেলে আটক নারীদের রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের আয়োজনে লালমনিরহাটের রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল। মাহফিল উপলক্ষে একদিন আগেই সোহরাওয়ার্দী মাঠসহ ৪টি মাঠ প্রস্তুত রাখা হয়। মাহফিলের আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিশুসহ নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। ৬ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটে মাহফিলে। সকাল থেকে লাখ লাখ জনতার সমাগমে লালমনিরহাট শহর ও তার আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এতে শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। জোহরের নামাজের পর শুরু হয় বয়ান। টানা এক ঘণ্টা বয়ান করে সভামঞ্চ ত্যাগ করেন আজহারী।
মন্তব্য করুন