আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাত্রদলের সাবেক নেতা কমল চন্দ্র (৩২) এখনো কোনো হায়তা পাননি। তিনি সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় সাভারের মুক্তির মোড় ও সাভার কলেজের মাঝামাঝি স্থানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন কমল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে ২২ আগস্ট তার অপারেশন হয়।
সম্প্রতি কমল চন্দ্র কালবেলাকে বলেন,
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরও সাভার উত্তাল ছিল। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি বুলেট এসে আমার মাথার পেছনে লাগে। তারপর আমি আর কিছু জানি না।
তিনি আরও বলেন,
স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। আমি সেখানে দীর্ঘ ৪৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। এর মাঝে আমাকে দেখতে যান ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম (লায়ন খোরশেদ)। পরে দেখতে আসেন মোহাম্মদপুর থানার জিয়া পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ছাত্র নেতা প্রভাষক সোহাগ হাসান খান।
এ বিষয়ে সোহাগ হাসান খান বলেন, কমলের গুলিবিদ্ধের খবর শুনে তাকে দেখতে হাসপাতালে যাই। পরে আমাদের নির্দেশনায় সে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে সহযোগিতার আবেদন করে। যার আইডি নম্বর ২৫১৭। কিন্তু এখনো কোনো ধরনের সহায়তা সে পায়নি।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু বকর সরকার শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বলেন, যারা জুলাই-আগস্টে শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের জন্য সরকার ইতোমধ্যে তালিকা প্রণয়ন করেছে। যারা এখনো তালিকাভুক্ত হতে পারেননি তাদের জন্য একটি প্রক্রিয়া চলমান। কেউ যদি তালিকার বাইরে থেকে থাকে তারা যদি আমাদের কাছে আসে বা আমরা যদি তথ্য পেয়ে থাকি তাকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব। আমার সাভার উপজেলায় অনেকেই ইতোমধ্যে সরকারি সহায়তা পেয়েছেন। বাকি যারা এখনো পাননি পর্যায়ক্রমে তারা পাবেন বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন