চাঁদা না দেওয়ায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ. হান্নান মিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান কামালকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, থানায় অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরও অভিযোগ জমা নেয়নি পুলিশ এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এমন অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান কামাল।
অভিযুক্তরা হলেন- আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ. হান্নান মিয়া, যুবদলের সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, সহসভাপতি ছিদ্দিক মিয়া, বিএনপি নেতা মোবারক হোসেন, সোলেমান ও কামরুজ্জামান রুবেল।
মাহমুদুল হাসান কামাল বলেন, আমি আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। পরিবারের কথা চিন্তা করে এখন রাজনীতি থেকে দূরে আছি। বসতবাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে নিজ জমিতে পুকুর খননের মাধ্যমে মাছ চাষ করে দীর্ঘদিন ধরে ফিশারি ব্যবসা করে আসছি। এ কারণে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। এমতাবস্থায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করা সত্ত্বেও গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলার মশুয়া এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমার কাছে পুনরায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বরাবরের মতো দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে অভিযুক্তরা আমাকে এলোপাথাড়ি মেরে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী কটিয়াদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলেও অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত বিএনপির সভাপতি আ. হান্নান কালবেলাকে বলেন, আমরা চাঁদাবাজ না, অভিযোগটি মিথ্যা। মাহমুদুল হাসান নিজ জমি থেকে মাটি কাটা অবস্থায় তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। পরে আবারও মাটি কাটতে গেলে একই এলাকার কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য আবু সিদ্দিকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। পরেরদিন মশুয়া এলাকায় চা খাওয়ার সময় আবু সিদ্দিকের সঙ্গে আবারও ঝগড়া হয় এবং এ ঘটনা ঘটে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এলে আবারও সংশোধনীর কথা বলে নিয়ে যায়। আজ শনিবার রাত ৮টায় অভিযোগ নিয়ে আসতে বলবেন।
মন্তব্য করুন