বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি শাহাদৎ হোসেন কলমকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার লেহেন্দা গ্রামে তার স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ের (ভাগ্নি) শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদমদীঘি থানা পুলিশ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে বগুড়া পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুলকে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার।
তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুরকে প্রধান করে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর হাইস্কুল পাড়ার ব্যবসায়ী এমরান হোসেন গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র তিন ছিনতাইকারী তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় তার চিৎকারে জনগণ এগিয়ে গিয়ে বাঁধন নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে সে আহত হলে পুলিশ তাকে আটক করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সময় অপর দুই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে চেপে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে আদমদীঘির আমইল গ্রামের লোকজন ছিনতাইকারী রাজু পালোয়ান ও মো. কলমকে আটক করে। এ সময় তাদের দুজনকে বেধড়ক মারপিট করা হয়।
খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ দুই ছিনতাইকারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর তাদের আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে হাতকড়া পরিহিত আসামি শাহাদৎ হোসেন কলম হাসপাতালের বাথরুমে যায়। এরপর সেখান থেকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় কলম। ওই হাসপাতালে এই আসামিদের পাহারা দিচ্ছিলেন বগুড়া পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুল।
মন্তব্য করুন