প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন পবিত্র কাবা শরিফের সাবেক ইমাম ও সিনিয়র মুহাদ্দিস, মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা বোর্ডের ফকিহ ড. শায়েখ হাসান বিন আবদুল হামিদ বুখারি।
তিনি আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার আয়োজিত ১০ম আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনে জুমার নামাজের ইমামতি করবেন ড. শায়েখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর কালবেলাকে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকায় দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখছে রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা। গত বছরে দেশ ও দেশের বাইরের বরেণ্য আলেমদের অংশগ্রহণে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি এবারের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে জুমার নামাজের ইমামতি করবেন কাবা শরীফের সাবেক ইমাম শায়েখ ড. হাসান বুখারি।
কাবার সাবেক ইমামকে ঘিরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান আয়োজক মাওলানা সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের নায়েবে মুহতামিম মুফতি আহমাদুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে ইসলামী মহাসম্মেলনে সৌদি আরবের মক্কার হারাম শরীফের মুফতি শায়েখ মুহাম্মদ বিন মাতার আস-সেহলী, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের হাদীস ও ফিকহ বিভাগের শিক্ষা সচিব শায়েখ আফজাল কাইমুরী, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরীর বয়ান করার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া শানে সাহাবা খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার, মাওলানা আশেকে এলাহী, আন্তর্জাতিক কেরাত সংস্থা বাংলাদেশের মহাসচিব সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী, মুফতি আব্দুল্লাহ আল সালেহী ও মাওলানা মেরাজুল হকও বয়ান করবেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ড. শায়েখ হাসান বিন আবদুল হামিদ বুখারি একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার, যিনি কাবা শরিফের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মজীবনে তিনি শুরুতে ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত মসজিদ আল হারামাইন শরিফের অভ্যন্তরীণ একাডেমি শিক্ষক ছিলেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় আরবি ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক ছিলেন। এরপর তিনি ২০০৮ ও ২০১৫ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মন্তব্য করুন