বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। যতবারই এদেশে গণতন্ত্র গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে ততবারই বিএনপি এ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৩টায় টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালুচড়া এলাকায় আব্দুর রহমান মুন্সী ৬৩তম ওরস শরীফে প্রধান অতিথি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বাংলাদেশের যে বর্তমান পরিস্থিতি বিগত দিনে একটি স্বৈরাচারী সরকার ছিল সিটি অবৈধ সরকার। সেই অবৈধ সরকার ভোট ডাকাতি করেছে এবং জোর করে নির্যাতন করে নিপীড়ন নিষ্পেষিত করে ক্ষমতায় ছিল ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা সরকার। সেই সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন করেছে। এ ছাড়া অসংখ্য ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। তাদের পরিণতি শেষ পর্যন্ত এ দেশ থেকে পালিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে। বাংলাদেশে যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদের একটিই চাওয়া ছিল, সেটা হলো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে বাংলাদেশের ।
তিনি আরও বলেন, ভোটের অধিকার যারা হরণ করেছিল তারা আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা থাকতে পারেনি। আজকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটি চলমান যে তাদের ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন। যাতে সেই সরকার জনগণের সরকার হবে। সেই সরকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে এটিই জনগণের চাওয়া।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সেই ভোট নিয়ে আজকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কায়দা মানুষ আবার ষড়যন্ত্র করছে। পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা প্রেতাত্মা ছিল তারা কিন্তু আজকে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যাদেরকে মানুষ ইতোমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আবার বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সে ব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে করে স্বৈরাচারী কোনো প্রেতাত্মারা আর মাথা চারা দিয়ে না উঠতে পারে এই বাংলাদেশে ।
টুকু বলেন, বিএনপি এমন একটি দল যে দলটি বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের দল। বিএনপিও কিন্তু জনগণের কাছে যখন যে ওয়াদা করেছে বিএনপি তা পূরণ করেছে। ১৯৯১ সালে যখন নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করবে এবং ২৫ বিঘা চরের জমির খাজনা মাফ করবে। সেটি কিন্তু নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করেছিল।
নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে বিএনপির প্রচার সম্পাদক আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে বেগম খালেদা জিয়া। মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে বেগম খালেদা জিয়া। আজকে গার্মেন্টস শিল্প যেটার উপর বাংলাদেশের অর্থনীতি চলে। সেই গার্মেন্টস শিল্পর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বিদেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানি করে বৈদেশিক অর্থ আসবে সেটিরও প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আজকে যে ঘরে ঘরে বিদেশে লোক যাচ্ছে এবং বিদেশ থেকে অর্থ কামাই করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। তাদের সংসার চলছে এটির মূল উদ্যোক্তা হচ্ছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাহলে দেশের জনগণ এবং দেশের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যে দলটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী,জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ শহীদুল আলম টিটু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন