গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মো. এনামুল হক নামের এক প্রবাসী যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের স্থানীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের এক ইউনিয়ন সভাপতির ওপর আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন এনামুল হক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোরে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত এনামুল হক উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি মালয়শিয়া প্রবাসী। গত তিন মাস আগে ছুটিতে আসেন। চলতি মাসে মালয়শিয়া চলে যাওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার ভাকোয়াদী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এনআইডি স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ফরিদ স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে গেলে চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের ২০/৩০ জন নেতাকর্মী হামলা করেন। এতে গুরুতর আহত হন ফরিদ। মারধরের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করার অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এনামুলের মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বজনরা এনামুলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে বাসায় নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি ঘটে। ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
নিহেতর স্ত্রী নাজমীন আক্তার বৃষ্টি বলেন, এনআইডি কার্ডের খোঁজ নিতে ভাকোয়াদি স্কুলে যান তিনি। সেখানে একটি মারামারি হচ্ছিল এবং এনামুল পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মারামারির সময় তিনি ভিডিও করছিল এমন অভিযোগ এনে কয়েকজন তাকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন